নাশকতাকারীদের বিচার হবে বিশেষ আদালতের সামারি কোর্টে


মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতাকারীদের বিশেষ আদালতের সামারি কোর্টে বা ক্যামেরা আদালতে দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে।

মন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিচারের কথা উল্লেখ করে বলেন, সে দেশে ৬০ জনের মতো বাঙালি মিছিল করেছিল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। কারো যাবজ্জীবন, কারো দশ, কারো পাঁচ বছর সাজা দেওয়া হয়েছে।

তারা যদি একটি মিছিল করার অপরাধে এই শাস্তি দিতে পারে; তাহলে বাংলাদেশ কি এতই দুর্বল যে আজকে এদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক, বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আদর্শের উত্তরাধিকারী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার এই সকল দেশদ্রোহীকে শাস্তি দিতে পারবে না? আমরা দাবি করবো বিশেষ আদালতে সামারি কোর্টে বা ক্যামেরা আদালতে দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার।

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় মাদারীপুরের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনে এসে যাত্রা পথে শনিবার (২৭ জিুলাই) দুপুরে মাদারীপুরের রাজৈরের টেকেরহাট স্ট্যান্ডে এক মতবিনিময় সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এসব কথা বলেন।

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আরও বলেন, বিগত দিনে জামায়াত-শিবিরের আন্দোলন যেভাবে শ্রমিক নেতা শাজাহান খান এমপি প্রতিহত করেছেন। সেই ক্ষোভেই তার মালিকানাধীন যানবাহন ও তেলের পাম্প পুড়িয়ে দিয়েছে, ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতিকারীরা। যে যানবাহনে সাধারণ জনগণ চলাচল করে, এগুলো স্বাভাবিক মানুষ কখনই ক্ষতি করতে পারে না। এটা প্রতিহিংসার জের, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে ‘অবসর’ ভবনে অভিযান, আইনজীবীর চেম্বার থেকে হাতবোমা-অস্ত্র উদ্ধার

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যেভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের সঙ্গে এদেশের দোসর রাজাকার, আলবদর, জামায়াত-শিবির তাণ্ডব চালিয়েছে, ঠিক তেমনি কোটা আন্দোলন ঘিরে যে ঘটনা, ১৯৭১ সালের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে। এই হামলাকারীরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় তিনি বলেন, জামায়াত-বিএনপির শিবির ছাত্রদল স্বাধীনতা বিরোধীরা এত শক্তি কোথা থেকে পেল। এটা আমাদের খুঁজে দেখতে হবে। যেখান থেকেই হোক, যত বড় শক্তিশালী হোক, আইনের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

মন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান, টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসিবুর রহমান খান, মাদারীপুরের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি হাফিজুর রহমান যাচ্চু খান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহজাহান হাওলাদারসহ আরো অনেকেই।

এর আগে দুপুর ১টার দিকে মাদারীপুরে সার্বিক ডিপোতে কোটা আন্দোলনের নামে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বাস ও বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন করেন।



Source link

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *