সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস প্রধান বিচারপতির


প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেছেন। এসময় তিনি শহীদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। পাশাপাশি পরিবারকে হত্যায় জড়িতদের সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে গিয়ে রোববার (৬ এপ্রিল) বিকেলে তার কবর জিয়ারত এবং স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে রংপুর শহর থেকে বিকালে সরাসরি বাবনপুর গ্রামে শহীদ আবু সাঈদের বাড়িতে গেলে তার বাবা মকবুল হোসেন, মা মনোয়ারা বেগম, বড় ভাই রমজান আলী ও মোহাম্মদ হোসেন তাদের স্বাগত জানান।

সেখানে প্রধান বিচারপতি শহীদ আবু সাঈদের বাড়ির উঠানের পাশে কবর জিয়ারত করেন এবং ফাতেহা পাঠ করেন। এর পরেই তিনি শহীদ আবু সাঈদের স্বজনদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন।

এ সময় প্রধান বিচারপতি অপেক্ষমান সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। তবে শহীদ আবু সাঈদের বড় ভাই আহমেদ হোসেন ও রমজান আলী সাংবাদিকদের জানান, তারা প্রধান বিচারপতির কাছে আবু সাঈদ হত্যা মামলা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বিচার শেষ করা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রত্যাশা করেন– এ বিষয়টি তারা প্রধান বিচারপতির কাছে বলেছেন।

সেই সঙ্গে পুরো পরিবার আরেকটি বিষয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে আকুতি জানিয়েছেন, এ হত্যা মামলায় যেন কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে জড়িত না করা হয় কিংবা মামলায় ফাঁসিয়ে সুবিধা নেওয়া না হয়, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা। প্রধান বিচারপতি তাদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির বিষয়টি দেখার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।

এর আগে দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আসলে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী।

এ সময় প্রধান বিচারপতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের স্মৃতি বিজড়িত স্থান পরিদর্শন করেন। সে সময় তিনি শহীদ আবু সাঈদের সহপাঠী ও সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলেন।

২০২৪ সালের ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে শহীদ আবু সাঈদের বীরত্বপূর্ণভাবে দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দেওয়ার ঘটনার বর্ণনা প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে শোনেন।



Source link

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *