মামলা করেননি জানিয়ে আদালতে বাদীর হলফনামা, যে আদেশ দিলেন বিচারক
হবিগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় মামলার বাদী কাজী শামীম আহমেদের স্বাক্ষর যাচাই করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) বাদী কাজী শামীম আহমেদ হলফনামা দিয়ে তিনি মামলাটি দায়ের করেননি জানালে বিচারক ফখরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
একই দিন মামলার আসামি মো. সনু মিয়া ও মো. সুরত আলীর জামিন আবেদন মঞ্জুর হয়।
এর আগে, গত ১৮ জুলাই হবিগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে ১৬ অক্টোবর বানিয়াচং উপজেলার আগোয়া গ্রামের কাজী শামীম আহমেদ সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন বলে পুলিশ জানায়। এতে ৪২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
এদিকে, মামলা দায়েরের দুই সপ্তাহ পর বাদী আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলা করেননি জানিয়ে হলফনামা দেওয়ার ঘটনা আদালতপাড়ায় আলোচিত হয়েছে। জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন আসামির তালিকায় থাকা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের বিভিন্ন আদালতে ৬৪ আইন কর্মকর্তা নিয়োগ
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন শ্যাম বলেন, ‘শুনেছি বাদী আদালতে একটি হলফনামা দিয়েছেন। এতে কী উল্লেখ রয়েছে এবং আদালত কী আদেশ দিয়েছেন, তা এখনও জানতে পারিনি।’
আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) আব্দুল কাদের বাদীর স্বাক্ষর যাচাই আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘বাদী কাজী শামীম আহমেদ আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলাটি তিনি দায়ের করেননি জানালে তার স্বাক্ষর যাচাইয়ের আদেশ দেন বিচারক। পরবর্তী প্রক্রিয়ায় তার স্বাক্ষর সংগ্রহ করে হস্তরেখা বিশারদের নিকট পাঠানো হবে।’
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কাজী শামীম আহমেদে বলেন, ‘আমার মোবাইল নম্বর হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যা বলি তা-ই ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে। এখন কথা বললে বিপদ আরও বাড়বে। পরে সংবাদ সম্মেলন করে আমি এ ব্যাপারে কথা বলবো।’
হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহী ও নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি ও সমকাল প্রতিনিধি এম এ আহমদ আজাদসহ ৪২ জন এ মামলার এজাহারনামীয় আসামি। তারা ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন তারেক মিয়া ওরফে চশমা তারেক, মেহেদি হাসান ফাহিম, হাবিব খান, বিপ্লব রায় চৌধুরী ও মেহেদী হাসান ইশান প্রমুখ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে নার্সিং ইনস্টিটিউটের কাছে পৌঁছালে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ মিছিলকারীদের ওপর হামলা করেন। এতে গুলিবিদ্ধসহ অনেকে আহত হয়েছেন।
Leave a Reply