বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হওয়ার বৈধতা প্রশ্নে শুনানি ২৬ জানুয়ারি


কোনো সংসদীয় আসনে একক প্রার্থী থাকলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা-সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১৯ ধারার বৈধতা–সংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানি হবে।

আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আগামী বছরের ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক গতকাল মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) শুনানির এই দিন ধার্য করেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১৯ ধারার বৈধতা নিয়ে করা রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে ২০১৪ সালের ১৯ জুন হাইকোর্ট রায় দেন। একই সঙ্গে রায়ে আরপিওতে ‘না ভোটের বিধান’ সংযোজনের নির্দেশনা চেয়ে করা অপর রিট (রুল ডিসচার্জ) খারিজ করা হয়। পৃথক দুটি রিটের ওপর একসঙ্গে শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই রায় দেন।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে রিট আবেদনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবদুস সালাম গত মাসে ওই লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন। লিভ টু আপিলটি আজ চেম্বার আদালতের কার্যতালিকায় ২০ নম্বর ক্রমিকে ওঠে। আদালতে লিভ টু আপিলকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শরীফ ভূইয়া, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নাজিব হুদা ও খন্দকার দিদার উস সালাম।

আরও পড়ুনমুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ও সংশোধিত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রশ্নে রুল

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারার বৈধতা নিয়ে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত খন্দকার আবদুস সালাম রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে ১৯ ধারা কেন সংবিধানের ৭, ১১, ২৭, ৩১ ৬৫ (২), ১২১ এবং ১২২ (১) অনুচ্ছেদ পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

এর আগে আরপিওতে ‘না ভোটের বিধান’ সংযোজনের নির্দেশনা চেয়ে দুই আইনজীবী ২০১৩ সালে একটি রিট করেন। এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৩ সালের ২৪ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে ব্যালটে ‘না ভোটের বিধান’ সংযোজনে আরপিতে সংশোধনী আনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। দুটি রিটের ওপর একসঙ্গে শুনানি নিয়ে রায় দেওয়া হয়।

হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, যদি কোনো আইন সংবিধানের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক হয় কেবল তখন সুপ্রিম কোর্ট ওই আইন বাতিল ঘোষণা করতে পারেন। আরপিওর ১৯ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। বর্তমান আইনি কাঠামোতে দশম সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বিন্দ্বিতায় ১৫৪ নির্বাচিতদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্নের সুযোগ নেই।

আরও বলা হয়, আরপিওতে না ভোটের বিধান যুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, সে বিষয়ে সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে। আরপিওতে ‘না ভোটের বিধান’ সংযোজনের নির্দেশনা চেয়ে করা অপর রিট (রুল ডিসচার্জ) খারিজ করা হয়।



Source link

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *