বিগত ৩টি সংসদের এমপি ও ইসিদের অনুসন্ধান চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ


গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সব সংসদ সদস্য এবং নির্বাচনে নিয়োজিত নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে দুদক ও মানিলন্ডারিং আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আজ রোববার (২৭ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম (শাহীন) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৮ সালে রাতের অন্ধকারে নির্বাচন আর ২০২৪ সালে নিজেদের ভেতরে পাতানো নির্বাচন হয়েছিল, যেখানে প্রায় সব সংসদ সদস্য ফ্যাসিস্ট হাসিনার পছন্দের বা তার আজ্ঞাবহ লোক ছিলেন।

রাষ্ট্র সংস্কার করতে হলে পতিত সরকারের গত ১৫ বছরে হওয়া নির্বাচনসহ সব অপকর্ম সংঘটনকারী ও তাদের সহযোগীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, বিশেষ করে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের প্রহসনের নির্বাচনগুলোতে বিনা ভোটে বা ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, হাসিনা সরকারের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগকে সহায়তাকারী দল যেমন- জাতীয় পার্টি ও ১৪-দলীয় জোট থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং ওই সব নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনাররা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। সেই সম্পদের সিংহভাগ বিদেশে পাচার করেছে বলে দেশবাসীর দৃঢ়বিশ্বাস।

এ অবস্থায় ওই সব সাধারণ নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত সব সংসদ সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট সব নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে দুদক ও মানিলন্ডারিং আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তিন কার্যদিবসের মধ্যে অনুসন্ধান ও প্রসিডিং শুরু করতে নোটিশ দেয়া হলো। ব্যর্থতায় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।



Source link

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *