‘বাংলাদেশের জন্য দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা আবশ্যক’


নৌপরিবহন, বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তন অপরিহার্য। এটি সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকেদের আইনি পদ্ধতিতে অংশগ্রহণের পথ সুগম করবে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপ ২০২৪-এ বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।

সাখাওয়াত বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা অপরিহার্য। যদি এটি বাস্তবায়ন করা যায়, আমি মনে করি বিভিন্ন স্তরের লোকেরা এসে গাইডলাইন তৈরি করতে পারে… একটি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা থাকলে নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রয়োজন হবে না।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য কোনও নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা নেই এবং তাই রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য একটি আইন থাকতে হবে, অন্যথায় আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব ও কর্তব্য দেখতে পাবো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আসলে যা দেখছি তা হল— রাজনৈতিক দলগুলো গঠিত হচ্ছে এবং এরপরে সংঘাতে লিপ্ত হচ্ছে। অতএব, আমি মনে করি রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য আইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি সংবিধান সংশোধন ছাড়াই এটা প্রণয়ন করা যেতে পারে।’

আরও পড়ুন‘আগামী বিজয় দিবসের আগে জুলাই গণহত্যার বিচার সম্পন্ন হবে’

রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধের জোরালো আহ্বান জানিয়ে বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা বলেন, ‘বেসামরিক বা সামরিক কর্মকর্তা, আমলা বা ব্যবসায়ীদের মধ্যে অবসর গ্রহণের পর সংসদ সদস্য হওয়ার প্রবণতা রয়েছে, পূর্বের কোনও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই এবং তারা মনোনয়নের জন্য ছয় থেকে আট কোটি টাকা ব্যয় করেন। যাকে আমরা মনোনয়ন বাণিজ্য বলি।

শিক্ষার্থীদের রাজনীতি করতে উৎসাহিত করতে এবং তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা না করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি বা আমরা যদি ছাত্রদের নিয়ে রাজনীতি করতে চাই— আপনারা সবাই ইতিমধ্যে দেখেছেন এর পরিণতি কী হতে পারে। ছাত্ররা অবশ্যই রাজনীতি করবে। আমি মনে করি আমাদের রাজনীতিতে তরুণদের অংশ গ্রহণ দরকার। তাদের নিরুৎসাহিত করে লাভ নেই। এবং আমি আশা করি, আপনারা এটি করবেন না।’

সালেহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বায়ক জুনায়েদ সাকি, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, শহীদুল্লাহ ফরাজী ও সারোয়ার তুষার।

সূত্র: বাসস



Source link

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *