ফেনীর আদালতে বাদীর ওপর হামলা, আইনজীবীসহ আহত ৫


ফেনীতে আদালতের এজলাসের কক্ষের দরজায় বাদীর ওপর হামলা করা হয়। বিবাদীর হামলায় আইনজীবীসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচতলায় গত রোববার (১৩ এপ্রিল) ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে হামলায় জড়িত দু’জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায় হামলাকারীদের।

আহতরা হলেন- বাদী মর্জিনা আক্তার, তার স্বামী ছেরাজুল হক, ছেলে এমদাদুল হক শাকিব ও এনামুল হক সজিব এবং বাদীর আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম নান্টু।

আদালত সূত্র জানায়, ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সোনাগাজী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বদরউদ্দিন ভূঞা বাড়ির ছেরাজুল হকের স্ত্রী মর্জিনা আক্তার একই বাড়ির আজিজুল হক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। রোববার দুপুরে আদালতে হাজির হন উভয় পক্ষ।

একপর্যায়ে মর্জিনার ওপর হামলা করেন বিবাদী আজিজুল ও তার সহযোগীরা। এ সময় মর্জিনাকে বাঁচাতে এলে তার স্বামী ও দুই ছেলেকে বেধড়ক পেটায় হামলাকারীরা। এ সময় তাদেরকে রক্ষা করতে এলে বাদী পক্ষের আইনজীবীও হামলার শিকার হন।

আরও পড়ুন : আদালত প্রাঙ্গণে স্বামীকে দেখে দুই স্ত্রী মিলে করলেন জুতোপেটা!

মর্জিনা আক্তার বলেন, আদালতে মামলা দায়েরের পর মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য বিবাদীরা বারবার হুমকি দিয়ে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার দুপুরে আদালতের বারান্দায় ফের হুমকি দিলে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।

এ সময় আজিজুল হক, তার ছেলে আমজাদ হোসেন সুমন, আফজাল হোসেন সুজনসহ ১০-১২ জন সহযোগী আমার ওপর হামলা করে। পরে আইনজীবী তাদের বাধা দিলে তারা আইনজীবীর ওপরেও হামলা করে।

পরে পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

বিষয়টি অস্বীকার করে আজিজুল হক বলেন, মামলার বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ছেরাজ ও তার ছেলেরা উল্টো আমার ওপর হামলা করে। এতে তিনি ও তার দুই ছেলে আহত হয়েছেন। হামলার ঘটনায় তিনিও মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।

বাদী পক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম নান্টু বলেন, আসামিদের দাবি অনুযায়ী মামলা প্রত্যাহার না করায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আইনজীবী ও পুলিশের সহযোগীতায় বাদী ও তার পরিবার প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। হামলায় আইনজীবীও কিছুটা আহত হয়েছেন।

ফেনী আদালত পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মাজহারুল করিম বলেন, হামলায় জড়িত আমজাদ হোসেন সুমন ও আফজাল হোসেন সুজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালত মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে সতর্ক করে ছেড়ে দেন।



Source link

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *