প্রায় ৩ কোটি টাকার পে-অর্ডার জালিয়াতির মামলায় আইনজীবী কারাগারে


সিলেটে জনতা ব্যাংকের প্রায় ৩ কোটি টাকার পেঅর্ডার জালিয়াতির মামলায় পারভেজ রশিদ নামের এক আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত রোববার (১৬ নভেম্বর) সিলেটের বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শফিউল আলম সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, জনতা ব্যাংক কুমারগাঁও শাখার গ্রাহক মেসার্স রহিম এন্ড রহিম এর মালিক অ্যাডভোকেট পারভেজ রশিদ ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে টাকা জমা না রেখেই বিভিন্ন কোম্পানির নামে বহু ভূয়া পেঅর্ডার ইস্যু করেন। এসব ভূয়া পেঅর্ডারের মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকারও বেশি।

ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অডিট টিম অনিয়মটি শনাক্ত করলে পারভেজ রশিদ তাৎক্ষণিকভাবে ৬১ লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। পাশাপাশি তিনি বাকি টাকা ২০০৯ সালের ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধের লিখিত অঙ্গীকারনামা দেন এবং নিশ্চয়তা হিসেবে ন্যাশনাল ব্যাংকের দুটি চেক প্রদান করেন। তবে পরবর্তীতে চেক দুটি ডিজঅনার হয়।

ঘটনার তদন্তে দুদকের টিম দুই দফায় অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দেয়। পরে পারভেজ রশিদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। একই সঙ্গে জনতা ব্যাংকে জমাকৃত তার দুটি চেক ডিজঅনার হওয়ায় এনআই অ্যাক্টে পৃথক মামলাও করা হয়।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদেরও দায়বদ্ধ করা হয়; মোট ৬ জন কর্মকর্তাকে অনিয়মে জড়িত থাকার কারণে বরখাস্ত করা হয়।

অ্যাডভোকেট পারভেজ রশীদ দীর্ঘদিন আদালতের জামিনে ছিলেন। গত রোববার তিনি সিলেটের বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে হাজির হয়ে আবারও জামিনের আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।



Source link

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *