নাফ নদীতে মৎস্য আহরণের নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল


নাফ নদীতে মৎস্য আহরণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে করা আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নাফ নদীতে মৎস্য আহরণের নিষেধাজ্ঞার আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও বেআইনি বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

এ বিষয়ে জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রবিউল আলম সৈকত।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশসহ নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের মধ্যবর্তী নাফ নদীতে মৎস্য আহরণ দুই মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর গত সাত বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও মৎস্য আহরণের সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়নি।

আরও পড়ুনজিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা স্থগিত

এর ফলে ওই এলাকার ১০ হাজার ৫৮০ জন রেজিস্ট্রার্ড জেলে পরিবারে দুর্দিন নেমে এসেছে। দীর্ঘদিনেও নাফ নদীতে মৎস্য আহরণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়ায় চলতি বছরের ১৫ আগস্ট নাফ নদীতে মৎস্য আহরণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে মৎস্যজীবীদের পক্ষে আবেদন করেন স্থানীয় সমাজকর্মী মোহাম্মদ আমান উল্লাহ।

জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনে বলা হয়, আমরা টেকনাফ উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা ও নিবন্ধিত জেলে। নাফ নদীতে মৎস্য আহরণ করে আমরা জীবন জীবিকা নির্বাহ করি। কষ্ট করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে ছিলাম। কিন্তু গত ২০১৭ সালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন দ্বারা দুই মাসের জন্য নাফ নদীতে মৎস্য শিকার বন্ধ ঘোষণা করে। আমরা সরকারি আদেশকে সম্মান প্রদর্শন করে মৎস্য শিকার থেকে দুই মাস বিরত থাকি।

দুই মাস পার হওয়ার পর জীবন-জীবিকার তাগিদে মৎস্য শিকার করতে গেলে স্থানীয় বিজিবি সদস্যরা আমাদের বাধা দেয় এবং শারীরিক নির্যাতন করে ও বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তাই আমরা দীর্ঘ সাত বছর আমাদের জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন নাফ নদীতে মৎস্য শিকার করতে না পারায় মানবেতর জীবন-যাপন করে আসছি। তাই বিজিবি সদস্যদের এহেন অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ করার জন্য মহোদয়ের কাছে করজোড়ে মিনতি কামনা করছি।

আইনজীবী রবিউল আলম সৈকত বলেন, এরপরও জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এর প্রতিকার চেয়ে গত মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন মোহাম্মদ আমান উল্লাহ।

ওই রিটের শুনানি আদালত আজ কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর করা আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।



Source link

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *