দেওয়ানি ও ফৌজাদারি বিচার ব্যবস্থা সংস্কারে আইন মন্ত্রণালয়ে সুপ্রীম কোর্টের চিঠি


বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে বিগত ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. তারিখে রোডম্যাপ (Roadmap) ঘোষণা করেন। উক্ত ঘোষিত রোডম্যাপে (Roadmap) প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেন যে, “দেওয়ানী ও ফৌজদারী এখতিয়ার অনুসারে পৃথক আদালত স্থাপন করা প্রয়োজন। যুগ্ম জেলা জজ হতে জেলা জজ পর্যন্ত এ সংস্কার আনতে হবে।”

প্রধান বিচারপতির ঘোষিত রোডম্যাপে (Roadmap) দেওয়ানী ও ফৌজদারী এখতিয়ার অনুসারে পৃথক আদালত স্থাপনের অংশ হিসেবে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি এবং সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দেওয়ানি ও ফৌজাদারি এখতিয়ার অনুসারে জেলা জজশীপ ও সেশনস ডিভিশন পৃথককরণ এবং সংশ্লিষ্ট জজশীপ ও সেশনস ডিভিশনের সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পদ সৃজনের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি পত্র আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট থেকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেওয়ানি মামলা ও ফৌজদারি মামলার বিচার্য বিষয়, এজলাসের ধরণ ও সাক্ষীর প্রকৃতি ভিন্ন। যার ফলে এ ধরনের মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিচারকের গভীর মনোনিবেশ প্রয়োজন হয়। তথাপি, ব্যাংলাদেশের অধস্তন আদালতসমূহে বর্তমানে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ দেওয়ানি আপীল, দেওয়ানি রিভিশন, ফৌজদারী আপীল, ফৌজদারী রিভিশন এর পাশাপাশি বিভিন্ন বিশেষ আদালত ও ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

এর ফলে বিচারকের সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রত্যাশিত মামলা নিষ্পত্তি কার সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে মামলা জট ও দীর্ঘসূত্রিতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষত দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ জন্য পৃথক এখতিয়ার প্রয়োগের সুবিধার্থে এবং মামলা জট নিরসনের নিমিত্ত বিচার বিভাগের সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করে পৃথক আদালত স্থাপন ও প্রয়েজনীয় সংখ্যক পদ সৃজন করার প্রয়োজনীয়তা থেকেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।



Source link

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *