কোটা আন্দোলনের সময় ওমানে গ্রেপ্তার প্রবাসীদের মুক্তির জন্য আইনজীবী নিয়োগ


গত জুলাই মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল করায় ওমানে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া প্রবাসীদের কারামুক্তির জন্য আইনজীবী নিয়োগ করেছে মাস্কাট দূতাবাস।

আইন অনুযায়ী, ওমানে মিছিল, মিটিং, সমাবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ কারণে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। তবে আটক হওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ছয়জনের সন্ধান পেয়েছে দূতাবাস। তাদের আইনি সহায়তা দিতে মাস্কাট থেকে সালালাহ্ যাবেন দূতাবাসের আইনজীবী।

ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের দিকনির্দেশনায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানানো হয়।

ওমান মাস্কাট দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম ওমানে বসবাসরত সকল প্রবাসীকে স্থানীয় আইন কানুন মেনে চলার পাশাপাশি, পরবর্তীতে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে কোটা আন্দোলনের সময় ওমানে গ্রেপ্তার বাংলাদেশিদের মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) হাইকোর্ট এ নির্দেশনা দেন। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে সালালাসহ ওমানের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করতে গিয়ে প্রবাসীরা গ্রেপ্তার হন।

আরও পড়ুন: দুবাইতে ৫৭ বাংলাদেশিকে মুক্ত করতে আইনজীবী নিয়োগ

এর মধ্যে অনেকের সাজাও হয়েছে। তাদের সবার মুক্তির ব্যবস্থা করে সেখানে কাজের ব্যবস্থা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন।

আবেদনে আরও বলা হয়, জীবিকার তাগিদে বাংলাদেশের নাগরিকরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরি বা ব্যবসা করে আসছে। কিন্তু কোটাবিরোধী আন্দোলন একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন, যা বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সারা বিশ্বের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে।

এর মধ্যে একজনের নাম আব্দুল্লাহ আল মামুন, পাসপোর্ট নং A03273145, যিনি আমার প্রতিবেশী। উনি ওমানের সালালাতে গত ৩০ জুলাই কোটা আন্দোলন থেকে আরও অনেকের সাথে গ্রেপ্তার হন।

এছাড়া অনেকের সাজা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অনেকে জেলে আছে, যেকোনো মুহূর্তে সাজা দেওয়া হবে। এদের সবার পরিবার দেশে খুব উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তাদের বাংলাদেশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মুক্ত করে ওইখানে আবার কাজে নিয়োগ করলে তার এবং তাদের পরিবারের অনেক উপকার হবে।

এর আগে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে দুবাইয়ে বিক্ষোভ করায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে কারাদণ্ড দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার। এসব প্রবাসী কর্মীকে মুক্ত করতে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

গত ১২ আগস্ট সংযুক্ত আরব-আমিরাতের মিশন প্রধান মুহাম্মদ মিযানুর রহমানের সই করা এক নোটিশের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।



Source link

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *