কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি-সংক্রান্ত বিধান অবৈধ ঘোষণা


কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনের বিধান দুটির বৈধতা নিয়ে করা রিটের ওপর রায়ের জন্য ১৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।

বিধান দুটি প্রশ্নে দেওয়া রুলের ওপর শুনানি শেষে গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের আজকের দিন ধার্য করেন।

আইনটি ‘কুইক রেন্টাল’ আইন নামে পরিচিতি পায়। ওই আইনের অধীন করা কাজ নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না এবং চুক্তি করার বিষয়ে মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ওই বিধান দুটিতে উল্লেখ রয়েছে।

এর আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনটি ২০১০ সালের ১২ অক্টোবর প্রণয়ন করা হয়। আইনের ‘পরিকল্পনা বা প্রস্তাবের প্রচার’-সংক্রান্ত ৬(২) ধারা ও ‘আদালত ইত্যাদির এখতিয়ার রহিত করা’-সংক্রান্ত ৯ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক ও মো. তায়্যিব-উল-ইসলাম আবেদনকারী হয়ে গত আগস্টে রিটটি করেন।

আরও পড়ুনকুইক রেন্টালে দায়মুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন।সংবিধানের নির্দেশনার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় ওই আইনের ৬(২) এবং ৯ ধারা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী শাহদীন মালিক শুনানি করেন, সঙ্গে ছিলেন মো. তায়্যিব-উল-ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনজুর আলম শুনানি করেন।

‘পরিকল্পনা বা প্রস্তাবের প্রচার’–সংক্রান্ত আইনের ৬(২) ধারার ভাষ্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রীর সম্মতি গ্রহণক্রমে যেকোনো ক্রয়, বিনিয়োগ পরিকল্পনা বা প্রস্তাব ধারা ৫–এ বর্ণিত প্রক্রিয়াকরণ কমিটি সীমিতসংখ্যক অথবা একক কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ ও দর–কষাকষির মাধ্যমে ওই কাজের জন্য মনোনীত করে ধারা ৭–এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণে অর্থনৈতিক বিষয় বা সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রেরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

আর ‘আদালত ইত্যাদির এখতিয়ার রহিত করা’ -সংক্রান্ত ৯ ধারা অনুযায়ী, এই আইনের অধীন করা বা করা হয়েছে বলে বিবেচিত কোনো কাজ, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতের কাছে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।



Source link

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *