এনরোলমেন্ট পরীক্ষার আগে করণীয়


বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরীক্ষায় করণীয়

ইতোমধ্যে সকল পরীক্ষার্থী ভাই-বোনদের প্রস্তুতি সমাপ্ত হয়েছে। পরীক্ষার হলে কিভাবে যাওয়া যায় সেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন ফলে আপনাদের কিছু বিষয় বিবেচনায় নেওয়া আবশ্যক।

পরীক্ষা আগে করণীয় –

এক. আপনার এডমিট কার্ড ও রেজিষ্ট্রেশন কার্ড অবশ্যই সাথে নিতে ভুলবেন না, সেই সাথে জাতীয় পরিচয় পত্র সাথে নিবেন। হোটেলে রাত্রি যাপন করতে হলে জাতীয় পরিচয় পত্র সাথে নেওয়া আবশ্যক।

দুই. পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশে ভালো হোটেল নির্বাচন করুন।

তিন. পরীক্ষার আগের দিন নিজের কেন্দ্র দেখে আসুন, কতো সহজে কেন্দ্রে যাওয়া যায় আগে থেকে নির্বাচন করে রাখলে পরীক্ষার দিন সমস্যায় পড়তে হবে না। মনে রাখবেন যানজটের নগরী হচ্ছে ঢাকা তার উপরে তিনটায় পরীক্ষা ফলে একটু সতর্ক না হলে পড়তে হবে মহা সংকটে।পরীক্ষার দিনে আপনি যেন কোন সমস্যায় পতিত না হোন এবং মানসিক ভাবে শান্তিতে থাকেন ইহা আপনাকেই নির্ধারণ করতে হবে।

চার. মনে রাখবেন পরীক্ষার দিন শুক্রবার হওয়ায় সবাই জু্ম্মার নামাজ পড়তে যাবেন ফলে পরীক্ষার কেন্দ্রের আশেপাশে, যে কোন মসজিদে নামাজ আদায় করুন এতে আপনি নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পারবেন এবং পরীক্ষার হলেও যথাসময়ে উপস্থিত হতে পারবেন।

পাঁচ. পরীক্ষার আগের রাতে ১২টার মধ্যে পড়া সমাপ্ত করুন  এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা রিভিশন দিয়ে পরীক্ষায় যান। মনে রাখবেন ভালো একটা ঘুম ছাড়া ভালো পরীক্ষা সম্ভব নয়।

ছয়. ঢাকায় অনেকে টং দোকান কিংবা রেস্টুরেন্টের পানি পান করেন যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। মনে রাখবেন ভালো প্রস্তুতির সাথে স্বাস্থ্য ঠিক রাখা আবশ্যক। মিনারেল ওয়াটার ক্রয় করে পান করুন অন্যথায় পানি বাহিত রোগ দেখা দিতে পারে পরীক্ষার আগে যদি কারো লুজ মোশন হয় তাহলে ভালো প্রস্তুতি থাকা সত্বেও বিপত্তিতে পড়তে পারেন।

সাত. অতিরিক্ত তেল চর্বি জাতীয় খাবার পারিহার করে স্বাস্থ্য সম্মত খাবার গ্রহণ করুন।

আট. গুরুত্বপূর্ণ ধারার ইংরেজি শব্দ এবং রোমান সংখ্যা গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে।

পরীক্ষা কালীন করণীয়

  • নির্ধারিত সময়ের পূর্বে হলে থাকার চেষ্টা করুন।
  • নিজের নাম,পিতার নাম,রোল,রেজিষ্ট্রেশন ইত্যাদি নির্ভুল ভাবে পুরণ করুন। সিগনেচার সীটে স্বাক্ষর করতে ভুল করবেন না,অন্যতায় আপনার পরীক্ষা বাতিল হয়ে যেতে পারে। অবশ্যই সেট কোড লিখতে ভুল করবেন না।
  • ১-১০০ যতো দ্রুত পারেন পূর্ণ করুন, সময় নষ্ট করা যাবে না। যে প্রশ্নের উত্তর পারেন না ইহা নিয়ে  গবেষণা করে সময় নষ্ট করা যাবে না। যে প্রশ্নের উত্তর পারেন না ইহা অবশ্যই তৎক্ষণাত ছেড়ে দিয়ে অন্য প্রশ্নের উত্তর করুন এভাবে ১-১০০গেলেই দেখবেন কাঙ্খিত উত্তর দেওয়া হয়ে গেছে। এইভাবে ৩৫ মিনিটের ভিতর আপনি যা পারেন তা পূর্ণ করুন এর পর যা যা পূর্ণ করেননি পরবর্তী সময়ে চেষ্টা করুন। আর কোন কারণে যদি, যে প্রশ্ন পারেন না তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তখন দেখবেন ৪৫-৫০মিনিট চলে যাবে এবং বৃত্ত ভরাট করবেন ৩৫-৪০টি তখন হতাশ হবেন এবং পরবর্তীতে দ্রুত বৃত্ত ভরাট  করতে গিয়ে যা পারেন তাও ভুল হবে ফলে কাঙ্খিত ফলাফল আসবে না।
  • অনেকে একটি বৃত্ত ভরাট করতে গিয়ে আরেক টি বৃত্ত ভরাট করে বসে, এই বিষয়ে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন প্রয়োজন।একটা ভুলের কারণে যদি আপনার প্রশ্নের নাম্বারে পর্যায় ক্রমে ভুল হয় এতে অনেক সঠিক উত্তর ও ভুল হয়ে যেতে পারে।
  • অনেকে ভালো করে প্রশ্ন না পড়েই উত্তর দিয়ে দেন যা আপনার জন্য ক্ষতির কারণ। প্রশ্ন পড়ার সাথে সাথে অপশন গুলোও মনোযোগ সহকারে পড়ুন। অনেক সময় প্রশ্ন পড়ার সাথে সাথে মাথায় উত্তর চলে আসে তখন অপশন দেখে সহজে উত্তর দেওয়া যায় আবার কিছু কিছু প্রশ্ন শুধু প্রশ্ন পড়ে উত্তর দেওয়া যায় না এক্ষেত্রে অপশনও মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

পরিশেষ -সকলের জন্য শুভকামনা।

লেখক: মো. আরিফুর রহমান; আইনজীবী ও আইনের শিক্ষক।



Source link

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *