আইনজীবী মহসীন ও সাংবাদিক কনককে আপিল বিভাগে তলব


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় এর ব্যাখ্যা দিতে সাংবাদিক কনক সরওয়ার ও আইনজীবীবী মহসীন রশিদকে তলব করেছেন আপিল বিভাগ।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আগামী ২১ জুলাই তাদেরকে হাজির হতে বলা হয়েছে। এই সময়ে আইনজীবী মহসীন রশিদ বাংলাদেশের কোনো আদালতে আইনপেশা পরিচালনা করতে পারবেন না বলেও আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে প্রবাসী সাংবাদিক কনক সরওয়ার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহসীন রশিদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের আবেদন করা হয়। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে গত বুধবার (২৬ জুন) শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী এ আবেদন দায়ের করেন।

আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত আবেদনটি শুনানির জন্য ৪ জুলাই দিন নির্ধারণ করেন।

সেদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাপস কান্তি বল।

সে অনুযায়ী আজ নির্ধারিত দিনে শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ওঠে।

জানা গেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চৌধুরী মুঈনুদ্দীকে যুক্তরাজ্যের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করার সুযোগ দিয়ে সম্প্রতি রায় দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট।

এই রায় নিয়ে গত ২১ জুন প্রবাসী সাংবাদিক কনক সরওয়ার পরিচালিত টকশোতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহসীন রশিদ বাংলাদেশের আদালত ও বিচারব্যবস্থা নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধে ২০১৩ সালে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড পান চৌধুরী মুঈনুদ্দীন। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে মুঈনুদ্দীনের ফৌজদারি অপরাধের বিবরণসহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল সেই প্রতিবেদন তখনকার টুইটার (বর্তমানে এক্স) হ্যান্ডলে শেয়ার করেন। তবে নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবি করে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলায় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রিরুদ্ধে হাইকোর্টে মানহানি মামলার আবেদন করেন মুঈনুদ্দীন।

পরে তা দুই দফায় খারিজ হলেও সুপ্রিম কোর্টে ফের মামলা করার আবেদন করলে গত ২০ জুন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট মুঈনুদ্দীনকে মামলা করার সুযোগ দিয়ে রায় দেয়। এই রায়ের অনুলিপি যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।



Source link

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *