বাংলাদেশে আইনজীবীদের গ্রেপ্তার, হত্যা, নির্বাচনে বাধা ও নিপীড়নে ইউরোপীয় বার কাউন্সিলের উদ্বেগ
বাংলাদেশে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান ‘নিপীড়ন, স্বেচ্ছাচারী গ্রেপ্তার, হত্যা ও গণতান্ত্রিক অধিকারে’ হস্তক্ষেপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে Council of Bars and Law Societies of Europe (CCBE)। সংস্থাটি সম্প্রতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের কাছে চারটি পত্র প্রেরণ করে এই পরিস্থিতির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
গত কয়েক দিনে সংস্থাটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে চারটি পৃথক চিঠি প্রেরণ করেছে। প্রতিটি চিঠিতে বাংলাদেশে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বেআইনি গ্রেপ্তার, হত্যা, নির্বাচনে বাধা ও নিপীড়নের নির্দিষ্ট ঘটনাসমূহ তুলে ধরা হয়েছে।
গত ৬ এপ্রিল ঢাকা মেট্রোপলিটন সেশন জজ ৮৪ জন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীর জামিন প্রত্যাখ্যান করে তাদের কারাগারে পাঠান, যদিও তাদের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে আগাম জামিন দেওয়া হয়েছিল। CCBE এই গ্রেপ্তারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছে। একই দিনে মৌলভীবাজার জেলা আদালতের আইনজীবী সুজন মিয়াকে ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়, যা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এছাড়া, ৭ এপ্রিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রাক্তন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে ঢাকায় তার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এর আগে ২০২৪ সালের আগস্টে নৃশংস শারীরিক আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন, যা তার পেশাগত কাজের জন্য প্রতিশোধ বলে মনে করা হয়। CCBE তার অবিলম্বে মুক্তি ও হামলার তদন্ত দাবি করেছে।
অন্যদিকে, ১০ এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলা বার অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বামপন্থী আইনজীবীদের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে বাধা দেওয়া হয়। ফলে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা ২১টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। CCBE এই ঘটনাকে গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
CCBE জাতিসংঘের আইনজীবীদের ভূমিকা সম্পর্কিত মৌলিক নীতিমালার উল্লেখ করে বলেছে, আইনজীবীদের ভয় বা হয়রানি ছাড়া পেশাগত দায়িত্ব পালনের অধিকার নিশ্চিত করা উচিত। সংস্থাটি বাংলাদেশ সরকারকে এসব ঘটনার তদন্ত, দোষীদের বিচার এবং আইনজীবীদের স্বাধীনতা পুনর্বহালের আহ্বান জানিয়েছে।
৮৪ জন আইনজীবীর গ্রেপ্তারে তীব্র নিন্দা
৬ এপ্রিল ঢাকায় ৮৪ জন আইনজীবীকে গ্রেফতারের ঘটনায় ইউরোপের ৪৬টি দেশের আইনজীবী সমিতিকে প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন Council of Bars and Law Societies of Europe (CCBE) বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বরাবর কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এ ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটির প্রেরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, এই আইনজীবীরা আওয়ামী লীগপন্থী হওয়ায় এবং রাজনৈতিক মতের কারণে তাঁদেরকে আটক করা হয়েছে, যদিও সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে তাঁরা আগে থেকেই আগাম জামিনপ্রাপ্ত ছিলেন।
সিসিবিইর মতে, এই গ্রেফতার আইন ও ন্যায়বিচারের মৌলিক নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তারা জাতিসংঘের “আইনজীবীদের ভূমিকা সম্পর্কিত মৌলিক নীতিমালা”র (UN Basic Principles on the Role of Lawyers) ১৬, ১৭, ১৮ এবং ২৩ নম্বর অনুচ্ছেদের উল্লেখ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে আইনজীবীরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব স্বাধীনভাবে পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা পাবেন।
চিঠির গুরুত্বপূর্ণ দাবি:
- ৮৪ আইনজীবীর মুক্তি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান।
- আইনজীবীদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
- আইনের শাসন এবং বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা রক্ষা করা।
চট্টগ্রাম বার নির্বাচন: গণতান্ত্রিক অধিকারে বাধা
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের ২০২৫ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে CCBE।
৪৬টি ইউরোপীয় দেশের এক কোটি আইনজীবীর প্রতিনিধিত্বকারী এই সংগঠনটি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে জানিয়েছে, নির্বাচনের সময় গণতান্ত্রিক অধিকারে মারাত্মক হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, “১০ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে আওয়ামী লীগ ও বামপন্থী আইনজীবীদের একটি দল বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে বাধা প্রদান করে। ফলে তারা নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করতে পারেননি এবং ২১টি পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন।”
এ ঘটনাকে “নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ইচ্ছাকৃত বর্জন ও ন্যায্যতার চরম অভাব” বলে উল্লেখ করেছে CCBE। একইসাথে তারা এটিকে বাংলাদেশের আইন পেশায় রাজনীতিকরণ এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের ধারাবাহিক অংশ বলে মনে করে।
চিঠিতে আরও তুলে ধরা হয়েছে, গত কয়েক মাসে ঢাকা, খুলনা, সুপ্রিম কোর্ট এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে জোরপূর্বক দখল এবং নির্বাচন কমিশনের হুমকির মতো ঘটনাও ঘটেছে—যা গোটা আইনজীবী সমাজের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতিমালার উল্লেখ
চিঠিতে জাতিসংঘের “Basic Principles on the Role of Lawyers” নীতিমালার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে, যার মধ্যে:
-
নীতি ১৬: আইনজীবীদের স্বাধীনভাবে ও নিরাপদে কাজ করার নিশ্চয়তা;
-
নীতি ২৩: মতপ্রকাশ ও সমিতি গঠনের স্বাধীনতা;
-
নীতি ২৪: আইনজীবীদের পেশাগত সংগঠনের ওপর হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা।
বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান
চিঠিতে CCBE বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে বার নির্বাচনে সকল আইনজীবীর অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করা, এবং আইনজীবীদের প্রতিশোধ, বাধা ও হয়রানি ছাড়াই কাজ করার পরিবেশ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছে।
CCBE তাদের বক্তব্যে স্পষ্ট করেছে যে, “আইনজীবীরা ভয় এবং প্রতিবন্ধকতা ছাড়া কাজ করতে না পারলে বিচারব্যবস্থা ও আইনের শাসনের ভিত্তি ভেঙে পড়বে।”
তুরিন আফরোজের গ্রেপ্তার ও নিপীড়ন
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী এবং প্রাক্তন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (ICT) প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ-এর স্বেচ্ছাচারী গ্রেপ্তার এবং পূর্ববর্তী হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে CCBE।
৪৬টি ইউরোপীয় দেশের বার অ্যাসোসিয়েশন ও ল সোসাইটির প্রতিনিধিত্বকারী এই সংগঠনটি মঙ্গলবার এক চিঠিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর কড়া বার্তা দিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতার প্রতি এই ধরনের আচরণ একটি ভয়ানক হুমকি।
“প্রতিশোধমূলক ও অমানবিক আচরণ” – অভিযোগ CCBE-এর
CCBE জানায়, ৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে রাতে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে ঢাকায় তার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়, যা আইনি প্রক্রিয়া লঙ্ঘন করে পরিচালিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এর আগে ২০২৪ সালের আগস্টে তাকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা শারীরিকভাবে আক্রমণ করে। ওই হামলা ছিল “নিষ্ঠুর, অপমানজনক এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ”, যা ICT-তে তার যুদ্ধাপরাধ মামলার কাজের প্রতিক্রিয়ায় ঘটেছে বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, “এই ধরনের ঘটনা শুধু ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়, বরং পুরো আইন পেশার স্বাধীনতার ওপর একটি সরাসরি আঘাত।”
জাতিসংঘের মৌলিক নীতিমালার কথা স্মরণ করিয়ে দেয় CCBE
চিঠিতে জাতিসংঘের “Basic Principles on the Role of Lawyers” নীতিমালার উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে:
-
নীতি ১৬, ১৭, ১৮ – আইনজীবীদের স্বাধীনভাবে ও নিরাপদে কাজ করার গ্যারান্টি;
-
নীতি ২৩ – মতপ্রকাশ ও সমিতি গঠনের স্বাধীনতা।
এই নীতিমালাগুলোর আলোকে CCBE ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের অবস্থা ও তার উপর হওয়া হামলাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলেই বিবেচনা করছে।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতি জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান
চিঠিতে CCBE বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের প্রতি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি জানিয়েছে:
- ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের তাৎক্ষণিক ও নিঃশর্ত মুক্তি নিশ্চিত করা;
- তার শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা;
- পূর্ববর্তী হামলার বিষয়ে দ্রুত, নিরপেক্ষ ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত পরিচালনা করা।
চিঠির শেষাংশে CCBE আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, “আইনজীবীদের ভয়, বাধা বা হয়রানির আশঙ্কা ছাড়াই কাজ করার অধিকার নিশ্চিত করা না হলে, একটি দেশের বিচারব্যবস্থা কখনোই স্বাধীন ও নির্ভরযোগ্য হতে পারে না।”
অ্যাডভোকেট সুজন মিয়ার নৃশংস হত্যা
বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলা আদালতের আইনজীবী সুজন মিয়া-র নির্মম হত্যাকাণ্ডে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে CCBE।
বিশ্বজুড়ে ১০ লক্ষের বেশি ইউরোপীয় আইনজীবীকে প্রতিনিধিত্বকারী এই সংগঠনটি মঙ্গলবার এক খোলা চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কাছে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
রাতে ছুরি হামলা করে হত্যা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সন্দেহ
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অ্যাডভোকেট সুজন মিয়াকে ৬ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে রাতে ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি ছিল অত্যন্ত সহিংস এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
CCBE জানিয়েছে, “সুজন মিয়া ছিলেন রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য একজন সক্রিয় ও সাহসী আইনজীবী। এটি স্পষ্ট যে তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণেই তাকে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছে।”
“এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়” — বলছে CCBE
চিঠিতে বলা হয়েছে, “এই হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশে আইন পেশার ওপর ক্রমবর্ধমান হামলার অংশ। গত কয়েক মাসে আমরা বাংলাদেশে একাধিক আইনজীবীর ওপর হামলা, স্বেচ্ছাচারী গ্রেপ্তার, এবং পেশাগত কারণে হয়রানির ঘটনা দেখতে পেয়েছি।”
CCBE আরও উল্লেখ করেছে, আইনজীবীদের প্রতি এই সহিংসতা শুধু ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, বরং পুরো বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতার ওপর হুমকি।
জাতিসংঘের নীতিমালার স্মরণ
চিঠিতে জাতিসংঘের “Basic Principles on the Role of Lawyers” নীতিমালার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে:
-
নীতি ১৬, ১৭, ১৮ – যা আইনজীবীদের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করে;
-
নীতি ২৩ – যা মতপ্রকাশ ও সমিতি গঠনের স্বাধীনতাকে রক্ষা করে।
এই নীতিগুলোর লঙ্ঘন হলে বিচারব্যবস্থার ভিত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলেই চিঠিতে সতর্ক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের কাছে CCBE-এর দাবি
চিঠির মাধ্যমে CCBE বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কাছে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে:
- অ্যাডভোকেট সুজন মিয়ার হত্যার বিষয়ে একটি তাৎক্ষণিক, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত;
- অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা;
- বাংলাদেশের সকল আইনজীবীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভবিষ্যতে এমন হামলা বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
চিঠির উপসংহারে বলা হয়েছে, “আইনজীবীদের ভয় বা বাধা ছাড়াই কাজ করতে না দিলে আইনের শাসন, বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক কাঠামো চরম ঝুঁকির মুখে পড়বে।”
Leave a Reply